মোঃ শাহিন আলম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এ বছর ভারতীয় গরু না আসায় হাটগুলোতে প্রচুর দেশীয় প্রজাতির পশু উঠছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার প্রতি বৃহস্পতিবার নওগাঁ হাট মঙ্গল বারে গুল্টা বাজারের হাট, সপ্তাহে দুই দিন সোম ও শুক্রবার তাড়াশ পৌর সদর হাট ও রবিবারে বারে খালখুলা সহ বিভিন্ন পশুর হাটে প্রচুর পরিমাণে পশু উঠছে।

অপরদিকে, উপজেলার বেশ কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের লোকদের চোখেঁ পড়লেও অসুস্থ গরু, ছাগল বা কোন পশু পরীক্ষা করার কোন কিছু চোখে পড়েনি।

এ জন্য হাটে আগত গরুর ক্রেতারা চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারন অসুস্থ পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রতিটা হাটে তদারকির জন্য তাদের থাকার নিয়ম থাকলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি বলে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেন।

গরু ব্যবসায়ী জালাল জানান, প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌসুমী পশু ব্যবসায়ীরা এ সকল হাট বাজারে আসতেন। এবার তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনা পরবর্তী মানুষের আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল না। এছাড়াও চলতি বোরো মৌসুমে অনেকেই অসময়ে বৃষ্টিপাতের ফলে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার কারণে অনেকেই জমির ধান কাটতেই পারেন নাই। এছাও বন্যা সহ নানা কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকার মৌসুমী গরু ব্যবসায়ীরা আসতে পারছেন না।

শোলাপারা গ্রামের খামারী আব্দুর রহিম জানান, ৫ টা গরু নিয়ে এসেছি। কিন্তু ক্রেতা কম। দামও কম বলছে। গত বছরের যে গরুর দাম ছিল ৪০/৫০ হাজার টাকা, এ বছর সেই গরু বিক্রি হচ্ছে ৩০/৪০ হাজার টাকায়।

ঈদের দিন পর্যন্ত বাজার এমন থাকলে লোকসান গুনতে হবে। সপ্তাহে দু’দিন করে হাট বসলেও ঈদের আগের দিন পর্যন্ত একটানা গরুর হাট বসানো দরকার।তাড়াশ সদরের হাটের পৌরসভা সচিব আশরাফুল আলম ভুইয়া বলেন, ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

গরুর হাটগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও নিজস্ব লোকবলের মাধ্যমে ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে ।তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.,,,, বলেন, প্রতিটা হাট বাজারে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমাদের লোকজন কাজ করছে।